যুগবীক্ষন ডিজিটাল ডেস্ক (tista4tista@gmail.com) : আর জি কর হাসপাতালে ঘটা মহিলা চিকিৎসকের খুন – ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা রাজ্য। বিভিন্ন ভাবে প্রতিবাদের মাধ্যমে চলছে দোষীদের শনাক্ত করে ন্যায় বিচার পাওয়ার আন্দোলন এবং একই সাথে চলছে রাত দখলের কর্মসূচি। এই রাত দখলের কর্মসূচিতে রাস্তা অবরোধকে কেন্দ্র করে উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে নোটিশ পাঠানো শুরু করল কলকাতা পুলিশ।

প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, বেহালার শখেরবাজার সংলগ্ন ডায়মন্ডহারবার রোডে একদল তরুণী রাত দখলের কর্মসূচি সংঘটিত করেছিলেন। তাদের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জাতীয় সড়ক আটকে যানবাহন চলাচলের অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে ৫ জন রাত দখলের কর্মসূচির উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায়সংহিতা ও জাতীয় সড়ক আইনের ধারা অনুযায়ী পুলিশ মামলা রুজু করেছে। এবং একই সাথে ওই পাঁচজনকে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ধারা অনুযায়ী সাত দিনের মধ্যে তাদেরকে তদন্তকারীদের সামনে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাঁকুড়া জেলা সারদামনী মহিলা মহাবিদ্যাপীঠের ভূগোল বিভাগের দুই ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখযোগ্য, ওই কলেজে ভূগোল বিভাগীয় প্রধান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রাজ্য শাসক দলের নেতা শ্যামল সাঁতরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্যামলের বিপক্ষে কলেজে ‘থ্রেট কালচার’ চালানোর অভিযোগ আনে বেশ কিছু ছাত্রীরা। শ্যামলের বক্তব্য অনুযায়ী ওই দুই ছাত্রী একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে জুনিয়র ছাত্রীদের থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করছিল ও নানান বিষয়ে প্ররোচিত করছে বলে তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জানায় কিছু ছাত্রী। এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আর জি কর কান্ডের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই বলে জানান তিনি।
আর জি কর এর পৈশাচিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতার রাজপথ থেকে গ্রামাঞ্চলের পথ ঘাট , সব জায়গাতেই গর্জে উঠেছে সাধারণ মানুষের আন্দোলনের হুংকার। এই প্রতিবাদের জনগর্জনেই রাজ্যের শাসক দল ভীত হয়ে মামলা রুজু করেছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে। এই রাত দখলের কর্মসূচিকে ঘিরে রাস্তা অবরোধ করে কর্মসূচি চালানোর অভিযোগে ঠাকুরপুকুর থানা থেকে নির্দেশিকা পাঠানো হয় আহ্বায়ক মেঘনা বড়ুয়াকে। পুলিশের তরফ থেকে পাঠানো এই নির্দেশিকা কে কেন্দ্র করে মেঘনা জানান, এর জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে, প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় নামবেন বলেও জানান তিনি। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হল পুলিশ যে ধারায় মামলা রুজু করেছে তার মধ্যে একটি হল জামিন অযোগ্য ধারা। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে , আরজি কর কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে গত দেড় মাস ধরে শহরের রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ, মিছিল ,সভা ,মিটিং চলছে। যানবাহন চলাচলের মত সমস্যা এবং একই সাথে সাধারণ মানুষকেও বিভিন্ন সানস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ।
পুলিশের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে যে শহরের রাস্তায় মিছিল, মিটিং বা অবস্থান করতে হলে আগে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে একটি মাত্র ই – মেইল পুলিশকে পাঠিয়েই রাস্তা দখল করা হচ্ছে । যার কারণে পুলিশ আগে থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে না।এই বেআইনি কাজের জন্যই মামলা রুজু করা হয়েছে।