এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জেহাদে আমরণ অনশনের পথে জুনিয়র ডাক্তাররা

যুগবীক্ষণ ডিজিটাল ডেস্ক (tistamondal4tista@gmail.com):

আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের নারকীয় ঘটনার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতাকে লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন দাবী আদায়ের ক্ষেত্রে এবার আমরণ অনশনের পথে হাঁটলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা।২৪ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তারা, এই সময়ের মধ্যে যদি তাদের দাবিদাওয়া গুলি পূরণ না হয় তাহলে অনশনের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি তারা আগেই জানিয়েছিলেন। এবার সেই পথেই হাঁটলেন তারা। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে জানানো , হয় কাজে ফিরলেও খাবার খাবেন না তারা। প্রথম সারির এই আমরণ অনশন করেছিলেন ৬ জন জুনিয়ার ডাক্তাররা। তাদের তরফ থেকে জানানো হয়, আমাদের আশা আমরা যখন এরপর থেকে নিজেদের হাতে খাবার তুলে নেব তখন সমাজের প্রতিটি জায়গাতেই ভয়ের রাজনীতি নিয়ে মানুষ সোচ্চার হবেন। জনস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিটি রোগী ,রোগীর পরিজন সহ সাধারণ মানুষ এই মৌলিক প্রশ্নগুলি তুলবেন। হাসপাতালে যখন কোন রোগী বেড পান্না, আইসিইউ তে বেড পান না, যখন চিকিৎসা পান না, তখন সেগুলোর জন্য আসল দায়ী কারা? এই সমস্ত প্রশ্নগুলি জনসাধারণ এই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বুঝবেন।

জুনিয়র চিকিৎসকেরা জানান যে যতদিন না তাদের দাবি-দাওয়া গুলো পূরণ করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তারা তাদের চিকিৎসা পরিষেবা তে থাকবেন কাজও করবেন কিন্তু খাবার খাবেন না।একই সঙ্গে তারা জানিয়েছেন যেভাবে তাদের পক্ষ থেকে রাজ্য প্রশাসনের কাছে স্বচ্ছতা দাবি করা হয়েছে, এই আমরণ অনশনের প্রশ্নেও তারা সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখবেন । তার জন্য তারা নিজেরাই অনশন আন্দোলনের মঞ্চে বসাবেন সিসিটিভি, এবং সেই সিসিটিভি জনগণের কাছে প্রকাশ্য থাকবে । । সাধারণ মানুষ আমাদের পথে এসে দাঁড়াচ্ছেন এটিও তারা জনসমক্ষে তুলে ধরবেন ।

সিনিয়র চিকিৎসকদের মধ্য থেকে একাংশ আবেদন করেছিলেন আবারও কর্ম বিরতিতে যাওয়ার ব্যাপারটি একবার বিবেচনা করার জন্য এবং পরামর্শ দিয়েছিলেন ভিন্ন পথে আন্দোলনের ব্যাপারে। তারপর থেকেই জল্পনার সৃষ্টি হয় যে, কর্ম বিরতি থেকে হয়তো সরে আসছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। সেইমতো গতকাল আন্দোলন প্রত্যাহার করেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। কিন্তু কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার পর তাদের দাবি পূরণের জন্য রাজ্য প্রশাসনের উদ্দেশ্যে ২৪ ঘণ্টার নির্দিষ্ট সময় ধার্য করে দেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা ।ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফ থেকে জানানো হয় যে সেই সময় সীমা অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ায় তারা নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে আমরণ অনশন আন্দোলন ডাক দিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *