যুগবীক্ষণ ডিজিটাল নিউজ ডেস্ক :
Report : Tista Mondal ●Digital arrangement & Graphix : Laboni De

কলকাতা,১ ডিসেম্বর : খসড়া তালিকা প্রকাশের পর বিশেষ শিবির আয়োজনের সময় যৌনকর্মীদের সমস্যার কথা শোনা হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে খসড়া তালিকা প্রকাশ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছিল না যৌনপল্লীতে কাজ করা সংগঠনগুলি। যৌনকর্মীদের সংগঠনের তরফে পূর্বেই কমিশনকে চিঠি পাঠিয়ে বিশেষ শিবির আয়োজন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। যৌনকর্মীদের বাস্তব সমস্যার কথা জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগারওয়ালকে চিঠি পাঠিয়েছিল তিন সংগঠন। এই সংগঠন গুলি হল- ‘সোসাইটি অফ হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট এন্ড স্পেশাল অ্যাকশন’, ‘ঊষা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিমিটেড’,’আমরা পদাতিক’।
চিঠিতে মূলত তিনটি সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এই সমস্যাগুলি হল- গ্রামাঞ্চল বা ভিন্ন রাজ্য থেকে সোনাগাছিতে আসেন যৌনকর্মীরা। সামাজিক নানা কারণে তাদের অধিকাংশের সঙ্গেই পরিবারের কোনাও যোগাযোগ থাকে না। সুতরাং ২০০২ সালের নথি তাদের পক্ষে জোগাড় করা তাদের পক্ষে অসম্ভব। এছাড়াও বহু যৌনকর্মী পরিস্থিতির চাপে পরিবার এবং বাড়ি ছেড়ে এই পেশায় আসেন। অনেকেই নথি নিয়ে বাড়ি ছাড়েননি। ফলে তাদের অনেকের কাছেই কমিশন নির্ধারিত নথি নেই। এছাড়াও এমন অনেক যৌনকর্মী আছেন, যারা পরিবারের কাছে তাদের পেশা গোপন করে রেখেছেন সামাজিক কারণে। এক্ষেত্রেও পরিবারের নথি জোগাড় করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, ওই চিঠি পাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে কমিশন স্থির করেছিল খসড়া তালিকা প্রকাশের পর বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হবে বলে। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী ৯ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশের পর যৌনকর্মীদের যা সমস্যা আছে তা সমাধান করতে বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হবে বলে মৌখিকভাবে জানিয়েছিল কমিশন। তবে সংগঠন গুলি চাইছিল যাতে এই সময়ের আগে বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হয়। এমতবস্থায় আরজি জানিয়ে শনিবার আবারও এই তিন সংগঠন যোগাযোগ করে কমিশনের সঙ্গে। যাতে আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই এই শিবিরের আয়োজন করা হয়।
অবশেষে সংগঠন গুলির দাবি মেনে খসড়া তালিকা প্রকাশের আগেই বিশেষ শিবিরের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। আগামী ২ এবং ৩ ডিসেম্বর কলকাতার চার যৌনপল্লীতে এই শিবিরের আয়োজন করা হবে। সোনাগাছি, খিদিরপুর, কালীঘাট এবং বউবাজার এলাকায় যৌনপল্লীতে এই বিশেষ শিবির আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।বাংলায় SIR এ নির্বাচন কমিশনের এটি একটি ইতিবাচক সামাজিক এবং মানবিক পদক্ষেপ বৈকি।