চিরকুমার ব্রত ভেঙে সংঘের প্রচারক হয়েও কিভাবে দিলীপ ছাদনাতলায় !

কলকাতা ,১৮ এপ্রিল :গুরুবারের বৈকালিক কালবৈশেখীর ঝড়কেও হারিয়ে দিয়েছিল যেন এই ঝড় ! হ্যা বিজেপি র জনপ্রিয় বর্ষীয়ান এক নেতার বিয়ের খবরের ঝড় ! দিলীপ ঘোষ– বহু বিতর্কিত মন্ত্যব করে রাজ্য রাজনীতিতে প্রায়শই শিরোনামে উঠে আসা বাজার গরম করা দিলীপ ঘোষ।আবারও খবরের শিরোনামে দিলীপ ঘোষ ! তবে এবার রাজনৈতিক কারণে নয়। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে। চিরকুমার দিলীপ ঘোষের বিয়ে ! চমকে দেওয়ার মতো খবর হলেও বটে খবরটা সত্যি বটে ! পাত্রী দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি মহিলা মোর্চা নেত্রী রিঙ্কু মজুমদার।৫১ বছরের রিঙ্কু ডিভোর্সী।তার এক পুত্রও রয়েছে।তিনিও বিজেপির সদস্য। আজ শুক্রবার ৬১ বছর বয়সী দিলীপের নিউ টাউনের বাসভবনে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হিন্দু আইন মেনে রেজিস্ট্রি পর্ব সেরে মালাবদল হচ্ছে দিলীপ-রিঙ্কুর বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। উপস্থিত থাকার কথা দিলীপের মা ,বড়দা এবং উভয় পক্ষের অতি ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের ।

অবশেষে বেলাশেষের এক শুক্রবারের সন্ধ্যায় চিরকুমার ব্রত ভেঙে দিলীপ ছাদনাতলায় ! তবে দিলীপ ঘোষের এই বিয়ের খবরে অনেকের কৌতুহল ও প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে।কেন ?দিলীপ ঘোষ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আর এস এস) সদস্য ও প্রচারক।আর খটকা এবং কৌতূহল ঠিক সেখানেই।এই সঙ্ঘের প্রচারকরা তো বিয়ে করেন না। দিলীপ তবে বিয়ে করছেন কীভাবে?জানা যাচ্ছে ,এটা ঠিক যে আরএসএস তথা সঙ্ঘ পরিবারের প্রথা রয়েছে, তাদের প্রচারকরা কেউ বিয়ে করতে পারেন না। তাঁরা প্রচন্ড নিষ্ঠার সঙ্গে আজীবন সঙ্ঘের মত ও পথের প্রচার ও প্রসার কার্যে নিয়োজিত থাকবেন এবং কোনরূপ সাংসারিক জীবনযাপন করতে পারবেন না। কিন্তু কোনও প্রচারক যদি জনপ্রতিনিধি হন এবং বেতন পেতে শুরু করেন, তখন তিনি আর প্রচারক থাকতে পারবেন না। দিলীপ ঘোষ আগেই খড়্গাপুর থেকে বিধায়ক এবং পরে মেদিনীপুরের সাংসদ হয়ে বেতন পেয়েছেন বৈকি। তাই তিনি আর সংঘের প্রচারক নন।তাই বিয়ে করতে অথবা সাংসারিক জীবনে প্রবেশ করতে তাঁর আর কোনও বাধা নেই।

দিলীপ ঘোষ এখন নিউটাউনের বাড়িতে মাকে নিয়ে থাকেন।একটা সময়ে দিলীপ ঘোষ দীর্ঘ দিন সংঘের বারুইপুরের শাখা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। পরে সঙ্ঘের প্রচারক হিসাবে উচ্চতর দায়িত্ব পান।এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, দিলীপই প্রথম নন , পূর্বেও সঙ্ঘের প্রচারকদের বিয়ের নজির রয়েছে।২০২১ বিধানসভা ভোটের সময়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বাংলার দায়িত্বে ছিলেন অরবিন্দ মেনন।তিনিও সঙ্ঘের প্রচারক ছিলেন। বাংলায় ভোট মিটে যাওয়ার পর তিনিও বিয়ে করেন। এবার দিলীপ ঘোষ।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সৌজন্য মেনে রাজনৈতিক বিরোধী নেতা দিলীপ ঘোষকে শুভেচ্ছাবার্তা সহ ফুল মিষ্টি পাঠিয়েছেন।বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ বেশ কয়েকজন নেতা-নেত্রীও দিলীপের বৈবাহিক জীবনের সুখ শান্তি কামনায় জানিয়েছেন শুভেচ্ছা বার্তা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *