যুগবীক্ষণ ডিজিটাল নিউজ ডেস্ক:

গরমের সময় ঠান্ডা পানীয়তে গলা ভেজাতে কে না চায় ! ফাইভ ষ্টার পার্টি থেকে সাধারণ ছোট খাটো গেট টুগেদারে বিয়ারের তো অবাধ যাতায়াত ! ছিপি বা ঢাকনা খুলেই চলে সেলিব্রেশন ! কিন্তু জানেন কি পানীয়র এই ঢাকনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ বৈজ্ঞানিক টেকনিক ও তথ্য ? হ্যাঁ, বিয়ার বা ঠান্ডা পানীয়ের বোতলের ঢাকনায় ঠিক ২১টি খাঁজ থাকে। এর পেছনে একটি দারুণ বিজ্ঞান ও ইতিহাস লুকিয়ে আছে, যা মূলত বোতল খোলার সহজতা, সিলিং-এর কার্যকারিতা এবং এটি তৈরির প্রক্রিয়াকে অপটিমাইজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
১৮৯০-এর দশক থেকে প্রচলিত এই ২১টি খাঁজ যুক্ত ঢাকনা। বোতল খোলার সময় সহজে চাপ প্রয়োগ করতে, ফুটো হওয়া রোধ করতে এবং বোতলজাতকরণের শিল্পে একটি আদর্শ মানদণ্ড তৈরি করতে সাহায্য করে !
২১টি খাঁজের পেছনের কারণ কী :
ফাঁকহীন সিলিং : এই খাঁজগুলো ঢাকনাটিকে বোতলের গলার সাথে নিখুঁতভাবে চেপে বসতে সাহায্য করে, যা কার্বনেশন বা গ্যাস বেরিয়ে যাওয়া থেকে পুরোপুরি প্রতিরোধ করে।
খোলা ও বন্ধ করার সুবিধা: খাঁজগুলো একটি নিখুঁত গ্রিপ দেয়, যা বোতল ওপেনার দিয়ে চাপ দিলে সহজে বাঁকানো যায় এবং চাপ প্রয়োগের ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি করে, ফলে কম শক্তি লাগে।
ঐতিহাসিক মানদণ্ড: ১৮৯২ সালে প্রথম এই ২১-রিজ প্যাটার্নটি তৈরি হয় এবং এটি একটি স্ট্যান্ডার্ড হয়ে ওঠে, যা বোতলজাতকরণ শিল্পে একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে গেছে। কম বা বেশি খাঁজ থাকলে এর কার্যকারিতা কমে যেত।
প্রযুক্তিগত ভারসাম্য: এই ডিজাইনটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি স্বয়ংক্রিয় ফিলিং এবং সিলিং মেশিনে নিখুঁতভাবে কাজ করতে পারে, যা উৎপাদন প্রক্রিয়াকে দ্রুত ও সাশ্রয়ী করে তোলে।
চাপের সঠিক বন্টন : ২১টি খাঁজ ঢাকনার ধাতুকে সমানভাবে চাপ দিতে সাহায্য করে, যাতে পুরোটা জুড়ে একটি শক্তিশালী সিল তৈরি হয়।
সুতরাং, এই ২১টি খাঁজ কোনো কাকতালীয় নয়, বরং এটি প্রকৌশল, রসায়ন এবং ইতিহাসের এক চমৎকার সমন্বয়! তাই ২১-ই হচ্ছে নিখুঁত লকিং নাম্বার, যা বোতলকে করে একদম এয়ারটাইট, আর পানীয় থাকে টাটকা ও নিরাপদ!