যুগবীক্ষণ ডিজিটাল নিউজ ডেস্ক :
Report : Tista Mondal ● Digital Arrangement & Graphix : Laboni De
কলকাতা, ১০ ডিসেম্বর : মঙ্গলবার পর্ষদ আগামী শিক্ষাবর্ষের ছুটির ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে। সেখানে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে কাট-শাট করা হয়েছে গরমের ছুটি। আগামী শিক্ষাবর্ষে গরমের ছুটি মিলবে মাত্র ৬ দিন, ১১ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত। ২০২৬-এ সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের পড়ুয়ারা গরমের ছুটি পাবে মাত্র ৬ দিন। এই বিষয়ে পর্ষদ জানিয়েছে, নিয়ম মত বছরে স্কুলগুলিকে ৬৫ টি ছুটি বরাদ্দ করা হয়, নতুন করে অনেক ছুটি দেওয়া হচ্ছে স্কুল গুলিকে , তাই গরমের ছুটিতে কাট – শার্ট করতে হয়েছে।

দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে শারদ উৎসব উপলক্ষে দেওয়া হয়েছে ২৮ দিন ছুটি। এছাড়াও এর পাশাপাশি অনেক নতুন ছুটি যুক্ত করেছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে রয়েছে গুরু রবিদাসের জন্মদিন, বীর চিলাবাই – এর জন্মদিন, ইস্টার স্যাটারডে, হুল দিবস, করম পুজো-র মতন দিনগুলি। বিগত বছরগুলিতে গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী থাকায়, একাধিক জেলায় লু-র পরিস্থিতি তৈরি হয় । এমত পরিস্থিতিতে প্রখর গরমে স্কুলে ক্লাস করার ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সেই জন্য গ্রীষ্মকালীন ছুটির দিন তখন বাড়ানো হয় স্কুলগুলিতে। অতিরিক্ত গরমের জন্য প্রায় প্রতি বছরই রাজ্য সরকার স্কুল পড়ুয়াদের বাড়তি ছুটি দিয়ে থাকে।
●২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পূর্ণাঙ্গ ছুটির তালিকা●
১ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার): ইংরেজি নববর্ষ।
১২ জানুয়ারি (সোমবার): স্বামী বিবেকানন্দ জয়ন্তী।
২২ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার): সরস্বতী পূজার আগের দিন।
২৩ জানুয়ারি (শুক্রবার): সরস্বতী পূজা, নেতাজি জন্মজয়ন্তী (বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের, কিন্তু ক্লাস হবে না)।
২৬ জানুয়ারি (সোমবার): সাধারণতন্ত্র দিবস (বিদ্যালয়ে পালন করা হবে সাধারনতন্ত্র দিবস, ক্লাস হবে না)।
৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার): শবে-বরাত।
১৪ ফেব্রুয়ারি (শনিবার): ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিবস।
১৫ ফেব্রুয়ারি (রবিবার): শিবরাত্রি।
৩ মার্চ (মঙ্গলবার): দোলযাত্রা।
৪ মার্চ (বুধবার): হোলি (দোলযাত্রার পরের দিন)।
১৭ মার্চ (মঙ্গলবার): শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবস।
২০ মার্চ (শুক্রবার): ইদ-উল-ফিতর এর আগের দিন।
২১ মার্চ (শনিবার): ইদ-উল-ফিতর।
২৬ মার্চ (বৃহস্পতিবার): রাম নবমী।
৩১ মার্চ (মঙ্গলবার): মহাবীর জয়ন্তী।
৩ এপ্রিল (শুক্রবার): গুড ফ্রাইডে।
১৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার): ডঃ বি.আর. আম্বেদকরের জন্মদিবস।
১৫ এপ্রিল (বুধবার): বাংলা নববর্ষ।
মে – আগস্ট পর্ব (গ্রীষ্মাবকাশ সহ)
১ মে (শুক্রবার): মে দিবস, বুদ্ধ পূর্ণিমা ও পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর জন্মদিবস।
৯ মে (শনিবার): রবীন্দ্র জয়ন্তী।
১১ মে – ১৬ মে (সোমবার – শনিবার): গ্রীষ্মাবকাশ (মোট ৬ দিন)।
২৬ মে (মঙ্গলবার): ইদ-উদ-জোহা (বকরি ইদ)-এর আগের দিন।
২৭ মে (বুধবার): ইদ-উদ-জোহা (বকরি ইদ)।
২৬ জুন (শুক্রবার): মহরম।
১৬ জুলাই (বৃহস্পতিবার): রথযাত্রা।
১৫ আগস্ট (শনিবার): স্বাধীনতা দিবস (বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে পালন হবে, তবে ক্লাস হবে না)।
২৬ আগস্ট (বুধবার): ফতেহা দোয়াজ দাহাম।
২৮ আগস্ট (শুক্রবার): রাখি বন্ধন।
সেপ্টেম্বর – ডিসেম্বর পর্ব (পূজাবকাশ সহ)
৪ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার): জন্মাষ্টমী।
১৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার): বিশ্বকর্মা পূজা।
২ অক্টোবর (শুক্রবার): গান্ধী জয়ন্তী।
১০ অক্টোবর (শনিবার): মহালয়া।
১৫ অক্টোবর – ১২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার – বৃহস্পতিবার): পূজাবকাশ
১৫ নভেম্বর (রবিবার): বিরসা মুন্ডার জন্মদিবস ও ছট পূজা।
১৬ নভেম্বর (সোমবার): ছট পূজা (অতিরিক্ত দিন)।
২৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার): গুরু নানকের জন্মদিবস ও পার্শ্বনাথের রথযাত্রা।
২৫ ডিসেম্বর (শুক্রবার): বড়দিন।
এছাড়া প্রধান শিক্ষকের বিচারাধীন হিসাবে বছরে একটি ছুটি পাওয়া যাবে। তাছাড়া সম্প্রদায়গত ছুটি হিসাবে যে দিন গুলো রয়েছে যা নিচে আলোচনা করা হল।
১ ফেব্রুয়ারি (রবিবার): গুরু রবিদাসের জন্মদিন ও বীর চিলারাই-এর জন্মদিবস।
৪ এপ্রিল (শনিবার): ইস্টার স্যাটারডে (খ্রীষ্টান জন্য)।
৩০ জুন (মঙ্গলবার): হুল দিবস (আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের জন্য)।
করম পূজা: রাজ্য সরকার ঘোষিত দিনেই কার্যকরী হবে।
এর পাশাপাশি দার্জিলিং ও কালিম্পং ১৩ জুলাই অর্থাৎ সোমবার কবি ভানু ভক্তের জন্মদিন উপলক্ষে ছুটি থাকবে। তাছাড়া পর্ষদের (WBBSE) তরফ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২৩ শে জানুয়ারি, ১৫ই আগস্ট, ৫ ই সেপ্টেম্বর, ২৬ শে সেপ্টেম্বর এই দিনগুলিতে বিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীকে উপস্থিত থাকতে হবেই। তবে এই দিনগুলি কোন ক্লাস হবে না।