যুগবীক্ষণ ডিজিটাল নিউজ ডেস্ক :
Report : Tista Mondal ● Digital Editing : Laboni Dey

কলকাতা ,১৪ অক্টোবর:সোনা বলে কথা ! শুধুমাত্র ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয় ,একটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই হলুদ ধাতু। দেশীয় মুদ্রার ওঠানামা এবং আর্থিক সঙ্কটের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসাবেও দারুন কাজ করে সোনা ।দেশীয় মুদ্রার দর নিয়ন্ত্রণেও সোনার ভূমিকা রয়েছে যথেষ্ট।ভারত বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডারের সোনা সঞ্চয়ের পরিমাণের নিরিখে বিশ্বে সপ্তম স্থানে রয়েছে ।শীর্ষ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ জুন মাস পর্যন্ত ভারতে সোনা মজুত রয়েছে ৮৭৯.৯৮ মেট্রিক টন।
প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানেও সোনার চাহিদা ও কদর ভারতের মতই।সে দেশে মাঝেমধ্যেই নতুন স্বর্ণভান্ডারের সন্ধান মিলেছে বলে শোনা গেলেও তথ্য বলছে এই মহামূল্যবান ধাতু সঞ্চয়েও পাকিস্তানকে বিশাল অংকে হারিয়ে দিয়েছে ভারত।পাকিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে সোনা আমদানি নিষিদ্ধ করেছে সরকার।ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের ২০২৫ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের তথ্য অনুযায়ী পাকিস্তানের হাতে রয়েছে ৬৫ টন সোনা।

বর্তমানে পাকিস্তানে সোনার দাম অবিশ্বাস্য পর্যায়ে উঠে গেছে। ভারতের ১০০ টাকা পাকিস্তানের ৩১৭ টাকার সমান। সেই অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবেই প্রতি ১০ গ্রাম সোনা কেনার জন্য পাকিস্তানি জনতাকে প্রায় তিন গুন বেশি টাকা খরচ করতে হয়। গতকাল সোমবার পাকিস্তানে ২৪ ক্যারেট ১ গ্রাম সোনার দাম পৌঁছে গিয়েছিল ৩৭ হাজার ২১ পাকিস্তানি টাকা। ২২ ক্যারেটের দাম হয়েছে ৩৩ হাজার ৯৩৬ পাকিস্তানি টাকা। ২১ ক্যারেটের দাম ৩২ হাজার ৩৯৩ পাকিস্তানি টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের জন্য দাম পড়বে ২৭ হাজার ৭৬৬ পাকিস্তানি টাকা।