যুগবীক্ষণ ডিজিটাল ডেস্ক (Whatsap- 7604097600 / 7365021506)
কলকাতা, ২৯ ডিসেম্বর :জীবনের জন্য রক্তদান তো বটেই , এ যেন মরণে বরণে স্মরণে রক্তদান।রক্তদান হল জীবন দান , প্রকৃত অর্থেই এক মহতী দান। প্রতিটি রক্তের ফোটায় থাকে নতুন জীবন ফিরে পাওয়ার আশ্বাস। বর্তমানে এই হাইটেক যুগে দাঁড়িয়েও কৃত্রিম উপায়ে রক্ত তৈরীর কোন পদ্ধতি আবিষ্কার করা যায়নি। তাই রক্তের তীব্র আকাল মেটাতে একমাত্র ভরসা রক্তদান। আমাদের দেশ তথা রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে ও প্রেক্ষিতে রক্তদান শিবির আয়োজিত হয়ে থাকে। কিন্তু ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা গোপাল রায়ের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত রক্তদান শিবির সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী। এর পিছনে রয়েছে এক করুন মর্মান্তিক কাহিনী।
২০০৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মারা যান গোপালের স্ত্রী বৈশাখী রায়।তাঁর স্মরণে পরের বছর অর্থাৎ ২০০৪ থেকে প্রতিবছরই এই দিনটিতে অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় এক সুবিশাল মহতী রক্তদান শিবির।এবছরও এর ব্যতিক্রম নয়। বাঁশদ্রোনী পীরপুকুর সম্মিলনী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত হল বৈশাখী রায় স্মরণে রক্তদান শিবির,২৪। এই রক্তদান শিবিরের শুভ উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ, আবাসন , যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।তিনি তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এই রক্তদান শিবিরের বিশেষ তাৎপর্য এবং জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে রক্তদানের মাহাত্ম তুলে ধরেন। রাজ্যের সাম্প্রদায়িক বিরোধী শক্তি গুলোকেও এই শিবির থেকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি।অন্যদিকে গোপাল রায় সংবাদমাধ্যমের সামনে তার স্ত্রীর স্মৃতিচারণায় স্বাভাবিক ভাবেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন।

এই রক্তদান কে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র এলাকার মানুষই নয় ,দূরদূরান্ত থেকেও বহু মানুষ এসে স্বেচ্ছায় তাদের মূল্যবান রক্ত দান করেন। প্রায় তিনশোর জনেরও বেশী মানুষ স্বেচ্ছায় তাদের রক্তদান করেন এদিন এই শিবিরে।এদিনের এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ,রাসবিহারী কেন্দ্রের বিধায়ক দেবাশীষ কুমার কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশন এর ১১ নম্বর এর বোরো চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তী,
৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা তপন দাসগুপ্ত , ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা অরূপ চক্রবর্তী, ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরমাতা অনিতা কর মজুমদার, বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং রসা শক্তি সেবক সংঘের প্রাণপুরুষ উত্তম মন্ডল সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এই রক্তদান শিবিরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষদর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মত।