যীশু দিবসে পায়ে পায়ে পার্ক স্ট্রীট নয় -পাটুলি : জনজোয়ারে পার্ক স্ট্রীটকে টেক্কা দিল বাপ্পাদিত্যের ‘ছোটদের বড়দিন’

যুগবীক্ষণ ডিজিটাল ডেস্ক : ( Whatsap : 7604097600 / 7365021506 )

কলকাতা ,২৫ ডিসেম্বর : ধর্ম যার যার উৎসব সবার।তাই জাতি ধর্ম নির্বিশেষে উৎসব প্রিয় বাঙালীর  বারো মাসে তেরো পার্বণ বৈকি ।  বলা বাহুল্য এই পার্বণ তালিকার সর্বশেষ আয়োজন এক্সমাস অর্থাৎ যীশু দিবস –বড়দিন। এই বড় দিন উদযাপন মূলত কেক ভক্ষন, কাছাকাছি চার্চ দর্শন এবং অতি অবশ্যই অপূর্ব আলোকসজ্জায় সজ্জিত পার্ক স্ট্রীট , বো ব্যারাক যাত্রার  মধ্যেই  সীমাবদ্ধ।কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে এই গতানুগতিক বড়দিন উৎসবে ভিন্ন মাত্রা এনেছে কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত পাটুলি উপনগরীর সম্পূর্ণ ভিন্নধরনের অভিনব ও অভিজাত উৎসব “ছোটদের বড়দিন” ।

এই উৎসব আসলে ওয়ার্ডের পৌরপিতা তথা প্রাণপুরুষ বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর মস্তিস্ক প্রসূত।মূলত তাঁরই মানবিক এবং ঐকান্তিক উদ্যোগে ও সুদক্ষ পরিচালনায় এবং তাঁর অনুগামীদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় প্রতিবছর বড়দিনে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব।   বাস্তবিকই বিগত বেশ কয়েক বছর ব্যাপী দক্ষিণ শহরতলীর বড়দিনের পাটুলি দক্ষিণ কলকাতার কল্লোলিনী ঐতিহ্যমন্ডিত পার্কর্স্ট্রীটকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ছাপিয়ে যাচ্ছে  উছ্বসিত  স্বতঃস্ফূর্ত জনপ্লাবনে।প্রতি বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এই অভিনব বড়দিন উৎসবের জনপ্রিয়তা। এবছরও এর ব্যতিক্রম নয়।

একান্ত সাক্ষাৎকারে  যুগবীক্ষণ ডিজিটাল এর মুখোমুখি  ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্ত

প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও বড়দিনের পাটুলি বিশ্ববাংলা প্রাঙ্গন যেন চাঁদের হাট।অগণিত কচিকাঁচাদের আনন্দ আগমন কোলাহলেউৎসব প্রাঙ্গন মুখরিত হয়ে উঠেছিল।   এর সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন স্তরের তথা রাজনৈতিক , বিনোদন ও সাংষ্কৃতিক জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উজ্জ্বল স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র  ফিরহাদ ‘ববি’ হাকিম ,যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ , যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার , পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশিষ্ট মন্ত্রী  চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য,রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুনাল ঘোষ,টলিউডের খ্যাতনামা অভিনেতা আবির চ্যাটার্জী, সোহম ,জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত , সৌরসেনি মৈএ, মনামী ঘোষ, দর্শনা বনিক,জনপ্রিয় গায়ক নচিকেতা প্রমুখ  এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানটির অন্যতম স্পনসর সুইসিয়াম কেক কোম্পানির এর কর্নধার স্বপন কুমার ঘোষ।

 পাটুলির  ‘ছোটদের বড়দিন’ এই ক্রিসমাস উৎসব আজ যে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছে তার উচ্চ্বাস ফুটে ওঠে বাপ্পাদিত্যর কথায়। এই অভিনব উৎসব প্রসঙ্গে  তিনি বলেন ” বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করার একটা ভাবনা আমার মাথায় ছিল। ২০১৬ সালে এই উৎসব শুরু করেছিলাম মাত্র ৫০০০ কেক দিয়ে। এবছর ২৫ হাজার কেক বিতরণ করতে  পেরেছি বাচ্চাদের মধ্যে। পাটুলি যে বড় দিনে সাধারণ মানুষদের একটা ডেস্টিনেশন হতে পেরেছে তাতে আমি খুবই আনন্দিত।প্রায় চার লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছে এবার । এ কৃতিত্ব আমার নয় মানুষের ।” মেয়র ববি হাকিমও পাটুলির এই উৎসবের কচিকাঁচাদের আনন্দ উচ্চ্বাস দেখে আবেগতাড়িত  হয়ে পড়েন এবং তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উৎসব পালনের  আহ্বান জানান।

সব মিলিয়ে বর্তমানে ক্রিসমাস অর্থাৎ যীশু উৎসবের জনপ্রিয়তায়  এক ‘পা’ (পড়ুন পাটুলি) যে আরেক ‘পা’ ( পড়ুন পার্ক স্ট্রীট ) এ গভীর ভাবে ভাগ   বসাতে পেরেছে  তা বলার অপেক্ষা রাখে না বৈকি !

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *