যুগবীক্ষণ ডিজিটাল নিউজ ডেস্ক :
Report by : Tista Mondal ● Digital arranger: Laboni De
কলকাতা,৬ ডিসেম্বর :তিনি সাংবিধানিক ভাবে রাজ্যের প্রথম নাগরিক।নামের মধ্যেও রয়েছে বাংলা ও বাঙালি ছোঁয়া !পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হওয়ার পরেই নিয়েছিলেন হাতেখড়ি। বলেছিলেন তিনি সাবলীলভাবে বাংলা বলতে এবং লিখতে শিখবেন। তিনি রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।সূত্রের খবর তিনি পশ্চিমবঙ্গের ভোটার হতে চান না !

রাজ্যে চলছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর কাজ ।কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের নামে পশ্চিমবঙ্গে কোনও এনুমারেশন ফর্ম আসেনি। কারণ তিনি এ রাজ্যের নাগরিক নন।পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নেওয়ার আগে থেকে তিনি কেরলের ভোটার। সেখানকার কোট্টায়াম জেলার ভোটার হয়েই থাকতে চান তিনি। এমনটাই কমিশনের সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল পদে যিনি বসেন, তিনি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ভোটার হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে রাজভবনের তরফে কমিশনকে আবেদন জানালেই রাজ্যপালের নাম সেই রাজ্যের ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়ে যায় । পূর্বতন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এ রাজ্যের নাগরিক হয়েছিলেন। তিনি ভোটও দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজভবনের সূত্রে জানা যাচ্ছে বোস রাজ্যের নাগরিক হতে চাননি। সে কারণে তাঁর নামে কোনও এনুমারেশন ফর্মও আসেনি।
২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হন বোস। কেরলের কোট্টামের বাসিন্দা হলেও তাঁর পদবিতে রয়েছে বাঙালি পদবি বোস। সেই বোস রাজ্যপাল হয়েই জানিয়েছিলেন, তিনি বাংলা শিখতে চান। সেই মতো রাজভবনে ২০২৩ সালের সরস্বতীপুজোর দিন হয়েছিল রাজ্যপালের ‘হাতেখড়ি’। তার পরেই রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘‘আমি বাংলা শিখব। বাংলা সুন্দর ভাষা। আমি বাংলাকে ভালবাসি। আমি বাংলার মানুষকে ভালবাসি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আমার নায়ক। জয় বাংলা, জয় হিন্দ।’’ যদিও তার পরে প্রায় তিন বছর হয়ে গেলেও বোস বাংলার ভোটার নন।