সুয়োরানি ‘ইয়েলো’ আর ‘গ্রীন’ আসার ফলেই কি দুয়োরানি ‘ব্লু ‘-র দুরাবস্থা ? : দিনভর লাগাতার মেট্রো বিভ্রাটে নাজেহাল যাত্রীরা

ব্লু লাইনের কবি সুভাষ স্টেশন বন্ধ রয়েছে বেশ কিছুদিন। না হলে এই লাইনে ভিড় আরও বাড়ত। এখন ব্লু লাইনে মেট্রো দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত চলছে। এটাও আরেকটা সমস্যা এবং অনেক সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ,শহিদ ক্ষুদিরামে ডাউন মেট্রোর রেককে আপ লাইনে নিয়ে আসার কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে ফাঁকা রেক নিয়ে যেতে হচ্ছে কবি সুভাষ পর্যন্ত। সেখান থেকে ‘টার্ন আউট’ করে আবার প্রান্তিক স্টেশন শহিদ ক্ষুদিরাম।বলা বাহুল্য তাতে ঘেঁটে গিয়েছে সময়সূচি। এর পরে মেট্রো কর্তৃপক্ষ ঠিক করেন, সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত একটি মেট্রো শহিদ ক্ষুদিরাম যাবে। পরেরটি মহানায়ক উত্তম কুমার (টালিগঞ্জ) থেকে ফিরে যাবে দক্ষিণেশ্বর। কিন্তু এর পরেও সময়ানুগ পরিষেবা দিতে পারেনি মেট্রো।

এ সবের সঙ্গে জুড়েছে নতুন মেট্রোর চাপ। এসপ্ল্যানেড এবং শিয়ালদহ জুড়ে যাওয়ার পর সেই দিন সন্ধ্যা থেকেই গ্রিন লাইনে পুরোপথে মেট্রো চলাচল শুরু হয়। প্রচুর যাত্রী হাওড়া থেকে এসে এসপ্ল্যানেডে নেমে ব্লু লাইনের মেট্রো ধরতে থাকেন। আবার সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ হয়েও প্রচুর মানুষ নামছেন এসপ্ল্যানেডে। গ্রিন লাইনের সেই ভিড় সামলানোর মতো পরিকাঠামো মেট্রোর ছিল নাবৈকি ।তার সঙ্গে গত সোমবার জুড়েছে বিমানবন্দর-নোয়াপাড়া। ফলে ব্লু লাইনে চাপ আরও বেড়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, পুরনো ব্লু লাইনই সামলাতে পারছিলেন না মেট্রো কর্তৃপক্ষ। প্রধানমন্ত্রীর সফরের তোড়জোড় এবং নতুন দুই মেট্রোর পথে নজর দিতে গিয়ে ব্লু লাইনে কোনও নজর দিতে পারেননি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। নতুন যা রেক এসেছে, প্রায় সবই ব্যবহার করা হচ্ছে ইয়েলো লাইনে। গ্রিন লাইনের মেট্রো ব্লু লাইনে চালানোর কোনও অবকাশ নেই।ফলে পূর্ব থেকে পশ্চিম , উত্তর থেকে দক্ষিণ– নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি চরমে। কখন যে মেট্রো বন্ধ হয়ে যাবে তার ঠিক নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *