হাইকোর্টের নির্দেশে ৩ বছরের সুরক্ষা কবচকুণ্ডল হারিয়ে গেল শুভেন্দুর : এবার কি খেলা হবে ?

কলকাতা ২৫ অক্টোবর:২০২২ সালের ৮ই ডিসেম্বর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কে রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল, হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবেনা রাজ্য এবং একই সঙ্গে কোনও এফআইআর দায়ের করা যাবে না। এই কারণে একাধিক অভিযোগ উঠলেও বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে পুলিশ এফ আই আর রুজু করতে পারেনি। এবং অপরদিকে রাজ্য সরকারও কোনোও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। কোনও অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে না বলে জানিয়ে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিলেন।এদিন ,একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে যে ১৫টি মামলা ছিল তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে এবং অপরদিকে তার বিরুদ্ধে থাকা ৪ টি মামলায় রাজ্য সরকার এবং সিবিআই কে যৌথভাবে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত।

কোনও মতে শুভেন্দুর নামের পাশ থেকে মুছে ফেলা যায়নি হাইকোর্টের দেওয়া ‘রক্ষাকবচের’ নির্দেশ।অবশেষে একুশ সালে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশকে কাটল অন্য সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দেওয়া ‘রক্ষাকবচ’ সরিয়ে নিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। যা ঘিরে স্বাভাবিক নিয়মেই চড়ল রাজনীতি। তৃণমূল এই রায়কে নিজেদের ‘জয়’ বলে দেখছে । বিজেপি এসবে ভয়ের কিছু দেখছে না বলে বিবৃতি দিচ্ছে ।অপরদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদেড় মতে এর ফলে রাজনীতির পথ আরও প্রশস্ত হল ।

এদিন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এটা মহিসাসুরের ব্রহ্মার থেকে পাওয়া অমরত্বের বরের মতো। খুব সমস্যার বিষয়। তবে আজকের এই নির্দেশ তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্যগুলিকেই মান্যতা দিয়েছে। আমরা প্রথম থেকেই বলেছিলাম, এই রক্ষাকবচ আইনসিদ্ধ নয়। যা শুভেন্দু ও বিজেপির জন্যও একটা বড় ধাক্কার সমান। অবশ্য ওরা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু আসল কথাটা হল, জোর কা ঝাটকা, ধীরে সে লাগা।’অন্যদিকে তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তীর বক্তব্য , ‘এই নির্দেশের ফলে শুভেন্দু অধিকারী যে একচেটিয়া আইনি সুবিধা পাচ্ছিলেন, এমনকি তাঁর একাধিক উস্কানিমূলক মন্তব্যে সমাজে অস্থিরতা বৃদ্ধি পাওয়া কিংবা তাঁর কনভয়ে গাড়ি চাপা পড়ে মানুষের মৃত্যুর পরেও তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর নিতে পারছিল না পুলিশ। তা আপাতত বন্ধ হবে।’

যাই হোক বিরোধী দলনেতা তথা রাজ্য বিজেপির মূল কান্ডারি শুভেন্দুর রক্ষা কবচ ঘুচে যাওয়ার ফলে রাজ্য রাজনীতি যে সরগরম হতে চলেছে তা বৈকি ! বাকিটা সময় বলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *