যুগবীক্ষণ ডিজিটাল নিউজ ডেস্ক :
Report :Tista Mondal ● Digiral arrangement & Graphix : Laboni De
কলকাতা,৮ ডিসেম্বর: ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আরও একটি নতুন প্রজন্ম শুরু হয়েছে। জেনারেশন আলফার পরবর্তী প্রজন্ম জেনারেশন ‘বিটা’, যা প্রায় ২০২৫ থেকে শুরু করে ২০৩৯ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের বোঝাবে ।

গ্ৰীক অক্ষর বিটা থেকে শব্দটি নেওয়া হয়েছে। অতি প্রযুক্তি নির্ভরতার কথা মাথায় রেখেই জেন ‘বিটা’র নাম বেছে নেওয়া হয়েছে। কারন তারা এমন একটি সময়ে জন্মগ্রহণ করছে যেখানে সবকিছুই ডিজিটাল। গোটা পৃথিবী জুড়ে আছে ডিজিটাল মাধ্যমে, লেখা-পড়া ,কাজকর্ম বর্তমানে সবই হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে। শুধু তাই নয় বর্তমান এই প্রজন্মটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা AI এর যুগে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা স্মার্ট সিস্টেমের মতো উন্নত প্রযুক্তির মধ্যে বেড়ে উঠবে এবং প্রযুক্তি বুদ্ধিমান হবে এই প্রজন্ম। তারা বিশ্বকে নতুনভাবে প্রভাবিত করবে এবং তাদের নিজস্ব অনন্য বৈশিষ্ট্য থাকবে।
সমাজবিদ মার্ক ম্যাকক্রিন্ডল এই প্রজন্মের নামকরণ করেছেন। গ্রীক বর্ণমালার দ্বিতীয় অক্ষর ‘বিটা’ থেকে এই নামটি নেওয়া হয়েছে। সমাজবিদ ম্যাকক্রিন্ডলের কথায়, বিটারা নিজেদের ডিজিটাল পরিচয়কে অনেক বেশি নিরাপদ করতে পারবে। আবার ডিজিটাল কাজে আরও বেশি করে ভাবনাও যুক্ত করতে পারবে। এছাড়া জেন ‘বিটা’র মধ্যে সবাইকে নিয়ে চলার গুণও থাকবে বলে জানিয়েছেন মার্ক। এই প্রজন্মটি আগামী ২১ শতক পর্যন্ত চলবে এবং তাদের বাবা- মা হবেন মূলত মিলেনিয়াল এবং জেনারেশন জেড বা জেন জি। মিলেনিয়াল বা জেনারেশন ওয়াই কারা?
ইন্টারনেট প্রযুক্তির ব্যবহারক আবার একই সঙ্গে পুরনো প্রজন্মের সামাজিকতা বোধের মিল-মিস রয়েছে মিলেনিয়াল দের মধ্যে। মিলেনিয়াল বা জেনারেশন ওয়াই সময়টি হল ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত জন্মগ্রহণ কারী দের বোঝায়। জেনারেশন জেড বা জেন জি হল স্মার্টফোন আর সমাজ মাধ্যমে নিমজ্জিত প্রজন্ম। এই প্রজন্ম রাজনীতি থেকে শুরু করে সামাজিক, ব্যবসায়িক বুদ্ধিতেও তুখড়। মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব দেখা যায় এই প্রজন্মের মধ্যেই। ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যে সমস্ত শিশুরা জন্মগ্রহণ করেছে তাদেরকেই জেন জি বলা হয়।●