
যুগবীক্ষণ ডিজিটাল ডেস্ক ( Whatsap – 7604097600 / 7365021506)
বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এল অস্ট্রেলিয়া অ্যাডিলেড টেস্টে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়ে । দ্বিতীয় টেস্টে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা ফিরিয়ে আনল অজিরা ভারতকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে সেই হারটাকে যে তারা আদৌ সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি তারই পরিষ্কার প্রতিফলন সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। রোহিত-কোহলিদের নিয়ে রীতিমতো ছেলে খেলা করেছে স্টার্ক-কামিন্সরা। ইনিংস হার এড়াতে পারলেও লজ্জা এড়াতে পারলেন না রোহিত শর্মারা। এই পরাজয়ে শীর্ষস্থান থেকে এক ধাপ পিছিয়ে আপাতত তৃতীয় স্থানে ভারত।
এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ভারত স্টার্কের বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র ১৮০ রানে অলআউট হয়ে যায় । এরপর ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩৩৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া। এর ফলে ১৫৭ রানের লিড পায় তারা। দ্বিতীয় ইনিংসেও অজিদের ভয়ঙ্কর পেস আক্রমণের কাছে মাথানত করে ভারতীয় ব্যাটাররা।

এবং মাত্র ১৭৫ রানে অলআউট হযে যায় ।নীতীশ কুমার রেড্ডির ৪২ রানের ইনিংসের সুবাদে ইনিংস পরাজয় থেকে কোনোক্রমে রক্ষা পায় রোহিত শর্মার দল। অজিদের জেতার জন্য মাত্র ১৯ রানের দরকার ছিল । মাত্র ১৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার নাখান ম্যাকসুইনি ও উসমান খাজাকে কোনো বেগ পেতে হয় নি।কোনও উইকেট না হারিয়েই ২০ বলেই জয় তুলে নেয় অজিরা। এই ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড।
ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে টেস্টে এত কম রান তাড়া করে কখনো জেতেনি কোনো দল।সব মিলিয়ে অ্যাডিলেডে খেলা হল ১৭১.২ ওভার। প্রতিদিন ৯০ ওভার করে ধরলে পুরো দু’দিনও খেলা হয়নি। এই ম্যাচই ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম সময় শেষ হওয়া টেস্ট ম্যাচ ।এই জয়ে অস্ট্রেলিয়া তাদের পয়েন্ট দাঁড় করিয়েছে ১০২-এ, জয়ের হার ৬০.৭১ শতাংশ। অন্যদিকে, ভারতের জয়ের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭.২৯ শতাংশে।দ্বিতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের হার ৫৯.২৬ শতাংশ । শীর্ষ স্থানীয় তিন দলের পর পয়েন্টের নিরিখে ক্রমানুযায়ী রয়েছে শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ।
এ হারের ফলে ভারতের জন্য বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছানো এখন বেশ কঠিন হয়ে পড়ল । ভারতকে সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে জিততেই হবে, নতুবা নির্ভর করতে হবে পরিসংখ্যান ও অন্য দলের পারফরম্যান্সের ওপর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ১৮০ ও ১৭৫ (রেড্ডি ৪২, গিল ২৮, পন্ত ২৮; কামিন্স ৫/৫৭, বোলান্ড ৩/৫১, স্টার্ক ২/৬০)। অস্ট্রেলিয়া: ৩৩৭ ও ১৯ ( ম্যাকসুয়েনি ১০, খাজা ৯ ; বুমরা ০/২)। ফল: অস্ট্রেলিয়া ১০ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: ট্রাভিস হেড।