আর জি কর কাণ্ডে আদালতে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় : সাজা ঘোষণা ২০

সঞ্জয়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে,। ৬৪ নং ধারায়, মৃত্যুর জন্য দায়ী, ৬৬ ধারায় ধর্ষণের শাস্তি এবং ১০৩ নং ধারায় খুনের চার্জ গঠন করা হয়েছিল। তবে সঞ্জয় আজও আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে ।আগেও আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছিল সঞ্জয়। সে বলে, “আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি কিছু করিনি।” এর পাল্টা বিচারক অনির্বাণ দাস বলেন, “CBI যা প্রমাণ দিয়েছে। তাতে আপনিই দোষী। শাস্তি পেতেই হবে।” ফের সঞ্জয় বলে, “আমার কথা শুনুন প্লিজ। আমি কিছু করিনি। আমাকে আইপিএস-রা যা বলেছেন, তাই বলেছি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা রয়েছে। আমি ধর্ষণ করলে সেটা ছিঁড়ল না কেন?” আগেও আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে সঞ্জয়।

প্রসঙ্গত,আর জি কর হাসপাতালে গত ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ১০ অগাস্ট ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ । ১৩ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্ট CBI তদন্তের নির্দেশ দেয় ।CBI জানায়, ঘটনার রাতের সিসিটিভি ফুটেজে সেমিনার রুমে ঢুকতে দেখা গিয়েছে সঞ্জয়কে । তার মোবাইলের টাওয়ারের লোকেশনও হাসপাতাল ছিল। ফরেন্সিক রিপোর্টে সঞ্জয়ের হাতের আঙুলের নখ এবং নিহত তরুণীর দেহাংশ থেকে প্রাপ্ত নমুনার সঙ্গে সঞ্জয়ের নমুনা মিলে যায়।CBI -এর দেওয়া তথ্যপ্রমাণে বিচারক সন্তুষ্ট বলে জানা গেছে ।

তবে সঞ্জয় ছাড়া আর কেউ কি ঘটনায় যুক্ত ? প্রকৃত সত্য কি? আমজনতার এই প্রশ্ন আজও রয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছে সেই নিয়ে। কিন্তু খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় CBI একা সঞ্জয়কেই অভিযুক্ত ঠাহর করে। আদালতও সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে। সুপ্রিম কোর্টে মামলার নিষ্পত্তি হওয়ারপ পরই যেন রায় দেওয়া হয় বলে আবেদন জানায় নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু শিয়ালদা আদালত জানায়, সুপ্রিম কোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। হাইকোর্ট আবার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। তাই মামলায় রায়দান করা হচ্ছে।

আর জি কর মামলার রায়ের জন্য আজ কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় শিয়ালদা কোর্ট চত্বর। পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যায় গোটা এলাকা। রাস্তা থেকেই তৈরি করা হয় ব্যারিকেড। সাধারণের প্রবেশ নিষেধ করা হয়। দুপুর ১টা নাগাদ সেখানে পুলিশের ভ্যানে চাপিয়ে সঞ্জয়কে আনা হয়। এর পর দুপুর ২ টো নাগাদ রায় দেয় আদালত।
আর জি কর-কাণ্ডের ১৬২ দিন পর রায় দিল শিয়ালদা আদালত। বিচারক অনির্বাণ দাস ধৃত সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করলেন। গত ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। ১০ অগাস্ট ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়কে। ১৩ অগাস্ট CBI তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এই ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ অগাস্ট ‘রাত-দখল’-এ নামেন শহরবাসী। ওই রাতেই দুষ্কৃতীরা আর জি কর হাসপাতালে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে । ওই ১৪ সেপ্টেম্বরই আর্থিক দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হোন আর জি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *